২৯ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৩:১৫
মা শব্দটা যে কতো প্রিয় তা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মা আমাদের এ ধরায় নিয়ে এসেছে। মায়ের গর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে কেটেছে আমাদের ভ্রুণদশা। মায়ের স্তনের অমৃত সুধা আমাদের প্রথম জীবীকা। মায়ের স্নেহের স্পর্শ এ নশ্বর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রথম মূলধন। মায়ের কতো কাছাকাছি আমাদের বসবাস, তবুও মায়ের অনেক কষ্ট আর না বলা কথা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। নিজের ভালো-লাগা আর মন্দ-লাগা নিয়ে আমরা সদা ব্যস্ত থাকি। মায়ের দিকে আমাদের খেয়াল কতোখানি!!!!!
শামসুর রাহমান এর ' কখনো আমার মাকে' কবিতাখানা সেদিন শেখ জলিল আবার মনে করিয়ে দিলেন। আমার মা-কে আমিও কোনো দিনও গান গাইতে শুনিনি। তিনিও হয়তো আজীবন তাঁর সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে বন্ধ করে রেখেছেন। আর তাই কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে!
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুৃম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।
যখন শরীরে তার বসন্তের সম্ভার আসেনি,
যখন ছিলেন তিনি ঝড়ে আম-কুড়িয়ে বেড়ানো
বয়সের কাছাকাছি হয়তো তখনো কোনো গান
লতিয়ে ওঠেনি মীড়ে মীড়ে দুপুরে সন্ধ্যায়,
পাছে গুরুজনদের কানে যায়। এবং স্বামীর
সংসারেও এসেও মা আমার সারাণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূর
জানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখল
কোনোদিন। মাছ কোটা কিংবা হলুদ বাটার ফাঁকে
অথবা বিকেলবেলা নিকিয়ে উঠোন
ধুয়ে মুছে বাসন-কোসন
সেলাইয়ের কলে ঝুঁকে, আলনায় ঝুলিয়ে কাপড়,
ছেঁড়া শার্টে রিফু কর্মে মেতে
আমাকে খেলার মাঠে পাঠিয়ে আদরে
অবসরে চুল বাঁধবার ছলে কোনো গান গেয়েছেন কি না
এতকাল কাছাকাছি আছি তবু জানতে পারিনি।
যেন তিনি সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে
রেখেছেন বন্ধ ক'রে আজীবন, কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু
শামসুর রাহমান এর ' কখনো আমার মাকে' কবিতাখানা সেদিন শেখ জলিল আবার মনে করিয়ে দিলেন। আমার মা-কে আমিও কোনো দিনও গান গাইতে শুনিনি। তিনিও হয়তো আজীবন তাঁর সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে বন্ধ করে রেখেছেন। আর তাই কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে!
কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুৃম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।
যখন শরীরে তার বসন্তের সম্ভার আসেনি,
যখন ছিলেন তিনি ঝড়ে আম-কুড়িয়ে বেড়ানো
বয়সের কাছাকাছি হয়তো তখনো কোনো গান
লতিয়ে ওঠেনি মীড়ে মীড়ে দুপুরে সন্ধ্যায়,
পাছে গুরুজনদের কানে যায়। এবং স্বামীর
সংসারেও এসেও মা আমার সারাণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূর
জানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখল
কোনোদিন। মাছ কোটা কিংবা হলুদ বাটার ফাঁকে
অথবা বিকেলবেলা নিকিয়ে উঠোন
ধুয়ে মুছে বাসন-কোসন
সেলাইয়ের কলে ঝুঁকে, আলনায় ঝুলিয়ে কাপড়,
ছেঁড়া শার্টে রিফু কর্মে মেতে
আমাকে খেলার মাঠে পাঠিয়ে আদরে
অবসরে চুল বাঁধবার ছলে কোনো গান গেয়েছেন কি না
এতকাল কাছাকাছি আছি তবু জানতে পারিনি।
যেন তিনি সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে
রেখেছেন বন্ধ ক'রে আজীবন, কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু
ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে!
No comments:
Post a Comment