Friday, March 14, 2008

হঠাৎ - ৪

২৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:১২

হঠাৎ করেই হারিয়ে যাওয়া তুমি
হঠাৎ একদিন হয়তো আসবে ফিরে।
বলবো না তখন হঠাৎ করেই
'এতোদিন তুমি কোথায় ছিলে?'
জড়িয়ে নেবো তোমায় আবার
সেই ভালোবাসার বন্ধনে,
যদিও জানি হঠাৎ এই যাওয়া-আসা
করবে খেলা একান্ত গোপনে।

এ যেন মেঘলা দিনে
এক টুকরো হঠাৎ রোদ্দুর,
কখনো বা হীম সন্ধেবেলা
হঠাৎ বৃষ্টিতে মন খারাপের সমুদ্দুর।

কে যেন...

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ সকাল ১০:৩৩

প্রতিটি রাত
প্রতিটি প্রহর
কাটে শুধু
তোমারই বিরহে
তোমার স্মৃতি
হৃদয়ে আমার
দেয় দোলা
প্রতিটি প্রহরে ।।

মেঘের সাথে

২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:৪১

অনেক অনেকদিন পর মনের আকাশে আজ
ঝলমলে সূর্যের আগমন;
ঝিলমিলে রোদ আর পাখির কিচিরমিচির কলতান
প্রকৃতির চোখে যেন আনন্দের ঝর্ণাধারা!
একরাশ ভালোবাসা নিয়ে এলো মৃদু হিমেল বাতাস
হাত পেতে নিলাম আর ভেসে গেলাম নির্মল ভালোলাগায়...

হঠাৎ মেঘ ঘুঙুর পড়লো নাচবে বলে
হারিয়ে গেলাম মেঘের সাথে সব ছন্দ ভুলে...

ইংরেজির ইংরেজিয়ানা

২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:১৩

... ইংরেজি কথা বলি। বাংরেজি গান করি
ইংরেজি ভাব-চক্কর আর ইংরেজি স্বপ্ন দেখি।

ইংরেজি শব্দটা আমরা যখনতখনই ব্যবহার করে থাকি। এমনকি বাংলা ও ইংরেজি মিলিয়ে বাংরেজির উৎপত্তি ঘটেছে সেই ইংরেজির কল্যাণে!!! ইংরেজি ভাষা তো আমাদের জানতেই হবে- লেখাপড়ার জন্য, জীবীকা নির্বাাহের জন্য, বর্হিবিশ্বে যোগাযোগের জন্য। তবে আমরা শুধু ভাষা শিক্ষাতেই থেমে থাকেনি; ইংরেজি চালচলন আয়ত্ত্বকরণের চেষ্টা আমাদের অবিরত চলছে। চলবে তো বটেই কারণ ইংরেজরা আমাদের উপর আধিপত্য করে গেছে ১৯০(+) বছর। এখনো কি করছে না!!!!

এখন আসল কথায় আসি। ইংরেজির ইংরেজিয়ানা নিয়ে যে এতো উন্মত্ত, সেই ইংরেজি শব্দ নিজেই ইংরেজি নয়। স্পষ্ট করে বলিঃ ইংরেজ শব্দের অর্থ হলো ইংল্যান্ডের অধিবাসী। তাদের ভাষা, তাদের কাজকারবারই হলো ইংরেজি। তবে ইংরেজ বা ইংরেজি শব্দটার উংপত্তি হয়েছে পর্তুগীজ Engrez শব্দ থেকে। এই শব্দটিই বাংলায় হয়েছে ইংরেজ বা ইংরাজ। এবং এর সাথে 'ই' প্রত্যয় যুক্ত করে হয়েছে ইংরেজি বা ইংরাজি বা ইংরিজি।আমরা বাঙালিরা ইংরেজির ইংরেজিয়ানা নিয়ে মেতে উঠে বাংলার বাঙালিয়ানাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছি তা কারো জানা আছে কি?????

আমার মাকে ভালোবাসি
আমার দেশকে ভালোবাসি
তবে আমি জানি না কেন আমি হেট করি
এসব খ্যাঁৎ খ্যাঁৎ খ্যাঁৎ বেঙ্গলি।।....

রক্তজবা ছিঁড়েছে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:০১

উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটছি
আর পাগলের মতো যাকে তাকে বলছি,
জানেন, ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে

কথাগুলি গানখানাতে যতোবারই ধ্বনিত হয়, মনে এক-একটা করে হতাশার জন্ম হয়। তবুও শুনি- যখন তখনই পুরো গানখানা শুনি। কারণ সেই হতাশার সাথে জন্ম নেয় সেই স্পৃহা- যে স্পৃহা জন্ম দেবে সেই বিপ্লব - যে বিপ্লব প্রতিশোধ নেবে সেই ধর্ষকদের - যারা ধর্ষণ করে যাচ্ছে মা-বোন-মেয়ে-প্রেমিকারূপী নারীদের। যারা উন্নয়নের নামে, ধর্মের নামে, দেশ রক্ষার অজুহাতে ধর্ষণ করছে সমাজকে - সর্বোপরি আমাদের মা ও মাটিকে- দেশ ও জাতিকে। সে স্পৃহা যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে জন্ম নেয় সেই কামনায় আজকের এই- রক্তজবা

খবরটা শুনে আমি উন্মাদের মতো ছুটলাম
হাসপাতালে
চারিদিকে রক্তের ছোপ ছোপ
ধর্ষিত হয়েছে আমার প্রেমিকা-
আমার রক্তজবা।
চোখ মেলে তাকালো সেই মেয়ে
প্রেমিকের কাছে অভিযোগ
রক্তভেজা শরীরে
"জানো! ওরা ন'জন ছিলো
কতো কাকুতি-মিনতি আমি করলাম
তোমার কথাও ওদের বললাম
জানি তুমি কষ্ট পাবে।
ঈশ্বরকে আমি প্রাণপণ ডাকলাম
উনি হয়তো অন্য কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন
কেন তুমি এতোগুলি বছর আমায় পবিত্র করে রাখলে?
মা মাগো মা! কী ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা!
জানো! ওরা ন'জন ছিলো
কেউ রেহাই দেয়নি।"

যে মহিলা সর্বক্ষণ তিরস্কার করতেন
আজ সে মা হয়ে গেছে
তাঁর চোখেতে আমাদের জন্য মমতা।
দু'জন পুরুষের চোখাচোখির ভাষা
পারবে কি খুনী হয়ে প্রতিশোধ নিতে তোমার রক্তজবার?

হাসপাতাল থেকে বের হলাম
সেই চেনা শহর,
সেই আইসক্রিমের দোকান,
সেই হাসি হাসি মুখ।
কতোটা অত্যাচারের পর প্রতিশোধ নেয়ার স্পৃহা জাগে?
কতোটা প্রতিশোধের জন্য খুনী হওয়াই উচিৎ?
উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটছি
আর পাগলের মতো যাকে তাকে বলছি,
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে... ...

এখনো খিদে পায়... ...

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১:৪৮

সারা দেশ ও বিদেশ জুড়ে
পশু-পাখি ও মানুষের অনেক স্বর বলে উঠে-
"আমাদের হৃদয়ের কোনো সমস্যা নেই।
দর্শন, বিজ্ঞান, প্রেম-ভালোবাসা নেই।
শুধু খিদে পায়-
বড্ড খিদে পায়।"

কবে যে কথাগুলো মোবাইল ফোনখানাতে সেভ করেছিলাম ভুলে গেছি। আজ আবার হঠাৎ চোখে পড়লো। ভাবছি এতোদিন পরেও ভাবনার কোন পরিবর্তন হলো না! আজও বলতে হচ্ছে- বড্ড খিদে পায়।।।

এ খিদের শেষ কোথায়... ...

অজানা ও আমি

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:২৮

কাছে যাওয়া বড্ড বেশি হবে
এই খানেই দাঁড়িয়ে থাকা ভালো
তোমার ঘরে থমকে আছে দুপুর
বারান্দাতে বিকেল পড়ে এলো
শুনি আপন বুকের দুরুদুরু
সেখানে এক মত্ত আগন্তুক
রক্ত কণায় তুলেছে তোলপাড়
সেই খানেতেই সুখ আমার সুখ
আলিঙ্গনের প্রকান্ড এক বনে
ঠোঁটে তোমার দীপ্ত কমন্ডলু
উপচে পড়ে বিদু্যতে চুম্বনে...


***** অজানার সাথে আমি। কবিতাটা কার জানি না।

বলছি তোমাদের...

১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ বিকাল ৩:২৯

সামনে হেঁটো না-
হয়তো পারবো না করতে অনুসরণ।
পেছনেও হেঁটো না-
হয়তো পারবো না করতে পথ প্রদর্শণ।
শুধু আমার পাশাপাশি হেঁটো
আর বন্ধু হয়ে থেকো।

রাগমোচন

০৯ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:২৮

খানিক বাদেই এলো মধু বসন্ত-
আর একটুপর এলো গ্রীষ্মের রুদ্র উত্তাপ-
অতঃপর এলো বর্ষা-
সিক্ত হয়ে গেলো ধরণীর অন্তর-

(১০ জানুয়ারি ২০০২)

সুপ্ত ব্যথা

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৪:০৩

আমি তো চেয়েছি শুধু জানিতে-
কী আছে তোমার অন্তরখানিতে।
সেথায় আছে কি কোন কথা?
নাকি সম্বল শুধুই ব্যথা?
সে ব্যথা কি কেবলই তোমার!
নেই কি কিছু দাবি আমার?

পারিবে না তুমি কখনো জানিতে-
কী আছে আমার হৃদয়খানিতে।
জমিয়া আছে যে কতো-শত-কথা!
তাহাদের মাঝে সুপ্ত কিছু ব্যথা-
সে ব্যথার দখল একান্তই আমার
জ্বলিয়া উঠিবে সর্বস্ব নিয়ে তোমার।

সুখ-দুঃখ নিয়ে টুকরো কাব্য

১০ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ দুপুর ১:৫৮

১.
দুঃখের মাঝেও আমার সুখ
তাই দেখি প্রতিদিন তার মুখ।
দুঃখ আমায় পারে না করতে বশ
সেই সুখেই আমার যতো যশ!

২.
দুঃখকে খুঁজে পেয়েছি আজ
আমার হাসির ভিতর
দুঃখের ছলছাতুরি তাই
বুঝে গেছে অন্তর।

৩.
দুঃখের নাম পরশ পাথর।
আমি তাই বড্ড কাতর।–
সুখ নয়, দুঃখের জন্য-
পাগল নয়, হবো বন্য।-

জন্মদিন এবং গণ-মিছিল

০৩ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ১১:১৫

ঘড়িতে বিকেল 4: 55। ছত্রিশ নাম্বার বাসে চরে আঁলিয়াস ফ্রঁসেজ-এর পথে। জানালার পাশে বসে বাইরে তাকিয়ে দেখি আকাশটা ভীষণ-মন-খারাপ-করা নীল , এবং ঝলমলে রোদ; সেই সাথে প্রকৃতির নির্মল বাতাস আর বাসের গতিবেগ মিলে সৃষ্ট ঝড়ো হাওয়া। কোথায় যেন হারিয়ে গেলাম! হয়তো সিলেটের শিবগঞ্জে (আমার জন্মস্থান)। আমি আজও জানিনা আমার জন্মের দিনটা কেমন ছিলো- মেঘলা, বৃষ্টিস্নাত নাকি ঠিক আজকের মতো? আজও কাউকে জিজ্ঞেস করা হয়নি। আমার জন্মস্থানটাও বুঝে উঠার পর দেখা হয়নি। যাবো যাবো করে কতো বছর যে কেটে গেলো!!!!!

হঠাৎ বর্তমানে ফিরে এলাম। দেখি বাস বিজয়স্মরণীতে ট্রাফিক জ্যামে আটকে আছে। প্রথমে অবাক হলাম কারণ পল্লবী-ঢাকেশ্বরী রুটের বাস এখানে থাকার কথা নয়। তারপর মনে পড়লো সরকারী দলের গণ-মিছিলের কথা। মিরপুর রোড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তাই 36 তার নির্দিষ্ট রুট পাল্টাতে বাধ্য হয়েছে। যাহোক একে একে বেশ কয়েকটা জ্যাম (নভোথিয়েটারের সামনে, তেজগাঁও থানার সামনে, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার) হতে ছাড়া পায়ে বাংলা মোটর। বাস স্থির দাঁড়িয়ে আছে। নো নড়ন-চরন। সামনে দিয়ে বিভিন্ন ব্যানার-ফ্যাস্টুন-ব্যান্ড পার্টি নিয়ে একে একে রাস্তা অতিক্রম করছে শ্লোগানে (!!!??) মুখর জনতার সমুদ্র (!!!??) ।

মানুষের অফিস থেকে ঘরে ফেরার সময় তখন। কিন্তু ঢাকা শহর তখন রাস্তায়-রাস্তায় গাড়ির সারিতে আবদ্ধ। কারণ আজ সরকারের নেতৃত্বে গণ-মিছিলের জোয়ার উঠেছে। মন-মেজাজ খুব খারাপ হয়ে গেলো। আমার সাথে সাথে আকাশেরও মন হয়তো খারাপ হয়ে গেলো। আকাশে কালো মেঘ জমতে শুরু করলো। বাতাসে বৃষ্টির গন্ধ (শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি আসেনি)। সেই মেঘলা দিনে লিলুয়া বাতাসের ছোঁয়ায় মনটা আবার হারিয়ে গেলো!কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলাম এখন মনে আসছে না। মাঝেমাঝে এমন হয় কয়েক ঘন্টার আগের কথাও মনে আসে না। যাহোক সে কথা না হয় এখন বাদই দিলাম। অন্যের কষ্টের কথা ভুলে গিয়ে নিজের দিকে মন দিলাম। ক্লাস শুরু হয় 5টায় আর এখন বাজে 6টা। অনেক কষ্টে যখন আঁলিয়াস ফ্রঁসেজ-এ পৌঁছলাম তখন ক্লাস প্রায় শেষ। এখানকার পরিবেশ খুবই বন্ধুসুলভ- তাই কোন কৈফিয়ত দিতে হলো না।

ফেরার পথেও অনেক কষ্ট পোহাতে হয়েছে। সে কথা বলতে একদম ইচ্ছে করছেনা। শুধু বলি বাসায় ফিরতে যেখানে 30-40 মিনিট লাগার কথা সেখানে আজ 120 মিনিট লেগেছে।

দিনটা আজ খুব ভালোভাবে শুরু হয়েছে। কিন্তু ঐ গণ-মিছিল আমার প্রিয় সময়টাকে অপ্রিয় করে দিয়েছে।

নিথর রাতে মিটমিটে জেনাকির আলো দেখে, জ্বলছে নিভছে মনের আশা
ধন্যবাদ হে ভালোবাসা, ধন্যবাদ হে রসিকতা
বিদায় বিহনে বলেছিলে, কষ্ট পেলে তুমি দুঃখ পাবে
পরাজয়ের এই জীবন আমার, এতটুকুতে মেনেই নেবে
প্রেমের প্রলাপে প্রলেপ মেখে, বিলীন করলে মিথ্যাচারে
ধন্যবাদ হে ভালোবাসা, ধন্যবাদ এই মন ভাঙা।

৩ সেপ্টেম্বর

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৬:০৪

এক দুই তিন
৩-এ আমার জন্মদিন
প্রশ্ন আমার তাই একটাই-
আর আছি কতোদিন?

চার পাঁচ ছয়
৬-তো নিছক নয়
ছয় ঋতু মিলেই তো
একটা বছর হয়।

সাত আট নয়
৯-তো কোন ভয়
আসুক যতো বাধাবিপত্তি
করবো সবই জয়।

বাকী রইলো শূন্য
০-তে সব অবিচ্ছিন্ন
শূন্য হতে শুরু সব
হবে আবার শূন্য।।

চিরসত্য...

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ৩:৩০

ধৈর্য্যশূন্য তেজ শুধু দগ্ধায়,
নম্রতা শূন্য নীতির বোঝা শুধু ভার বাড়ায়,
বিনয়শূন্য সামর্থের নাম দাম্ভিকতা আর
বুদ্ধিশূন্য পৌরূষের নাম অত্যাচার।

*****কথাগুলো আজও মনের ভিতর গেঁথে আছে। কোন উপন্যাসে পড়েছিলাম ভুলে গেছি।

What makes a man a man?

০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৬ রাত ২:৪৬

একদা এক বন্ধু বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছিলো:
কী মানুষকে মানুষে পরিণত করে? উৎস?
নাকি জীবনে আগমনের পথ মানুষকে দেয় মনুষ্যত্বের সংজ্ঞা?

আমি মনে করি সেই কী হচ্ছে,
জীবনে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো-
সে কীভাবে কাজ শুরু করলো তা নয়,
বরং কীভাবে কাজগুলো শেষ করবে
সেই সিদ্ধান্তই তাকে শ্রেষ্ঠত্বে পৌঁছায়।

Thursday, March 13, 2008

সময়

৩১ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৪:১৭

সময়
আমার একটি ছোট্ট কবিতার নাম।

সময়
আমার ভালোবাসার নাম
যার তরে পৃথিবীকে তুচ্ছ করে আমার জ্ঞান।

সময়
এক আলেয়ার নাম
যার তরে মানুষ হেয় করে তাদের প্রাণ।

সময়
আমার ধ্বংসের নাম।

কী মানুষকে মানুষে পরিণত করে?

৩০ শে আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৪:৪৭

What makes a man a man?
A friend of mine once wondered.
Is it his origins?
The way he comes to life?
I don't think so.
It's the choices he makes-
Not how he starts things,
But how he decides to end them.

একদিন, ফেরার পথে...

২৯ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৪:১৬

বেড়িয়েছিলাম প্রখর রৌদ্রে
ফিরছি হলুদাভ সোডিয়াম আলোর মলিন স্পর্শে
দিনের ভাবসা গরমের পর রাতের এই লিলুয়া হাওয়ায়
ছুটে চলেছে তিনচাকার এই পদচালিত যান...

কখনো আমার মাকে

২৯ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ৩:১৫
মা শব্দটা যে কতো প্রিয় তা কখনো ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। মা আমাদের এ ধরায় নিয়ে এসেছে। মায়ের গর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে কেটেছে আমাদের ভ্রুণদশা। মায়ের স্তনের অমৃত সুধা আমাদের প্রথম জীবীকা। মায়ের স্নেহের স্পর্শ এ নশ্বর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার প্রথম মূলধন। মায়ের কতো কাছাকাছি আমাদের বসবাস, তবুও মায়ের অনেক কষ্ট আর না বলা কথা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। নিজের ভালো-লাগা আর মন্দ-লাগা নিয়ে আমরা সদা ব্যস্ত থাকি। মায়ের দিকে আমাদের খেয়াল কতোখানি!!!!!

শামসুর রাহমান এর ' কখনো আমার মাকে' কবিতাখানা সেদিন শেখ জলিল আবার মনে করিয়ে দিলেন। আমার মা-কে আমিও কোনো দিনও গান গাইতে শুনিনি। তিনিও হয়তো আজীবন তাঁর সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে বন্ধ করে রেখেছেন। আর তাই কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে!

কখনো আমার মাকে কোনো গান গাইতে শুনিনি।
সেই কবে শিশু রাতে ঘুৃম পাড়ানিয়া গান গেয়ে
আমাকে কখনো ঘুম পাড়াতেন কি না আজ মনেই পড়ে না।

যখন শরীরে তার বসন্তের সম্ভার আসেনি,
যখন ছিলেন তিনি ঝড়ে আম-কুড়িয়ে বেড়ানো
বয়সের কাছাকাছি হয়তো তখনো কোনো গান
লতিয়ে ওঠেনি মীড়ে মীড়ে দুপুরে সন্ধ্যায়,
পাছে গুরুজনদের কানে যায়। এবং স্বামীর

সংসারেও এসেও মা আমার সারাণ
ছিলেন নিশ্চুপ বড়ো, বড়ো বেশি নেপথ্যচারিণী। যতদূর
জানা আছে, টপ্পা কি খেয়াল তাঁকে করেনি দখল
কোনোদিন। মাছ কোটা কিংবা হলুদ বাটার ফাঁকে
অথবা বিকেলবেলা নিকিয়ে উঠোন
ধুয়ে মুছে বাসন-কোসন
সেলাইয়ের কলে ঝুঁকে, আলনায় ঝুলিয়ে কাপড়,
ছেঁড়া শার্টে রিফু কর্মে মেতে
আমাকে খেলার মাঠে পাঠিয়ে আদরে
অবসরে চুল বাঁধবার ছলে কোনো গান গেয়েছেন কি না
এতকাল কাছাকাছি আছি তবু জানতে পারিনি।

যেন তিনি সব গান দুঃখ-জাগানিয়া কোনো কাঠের সিন্দুকে
রেখেছেন বন্ধ ক'রে আজীবন, কালেভদ্রে সুর নয়, শুধু
ন্যাপথলিনের তীব্র ঘ্রাণ ভেসে আসে!

নারী, আমি ভুলে যাই...

২৪ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:৪১

নির্বোধ বোধ আমার আমি পুরুষ-
ঈশ্বরের কাছাকাছি।
নারী প্রভুত্ব আমার মজ্জাগত।
তুমি দুর্বল,
পদতলে আমার স্বর্গসুখ তোমার;
তুমি উর্বর আমার কর্ষণে,
আমার গমন তোমার অভ্যন্তরে
জীবন তোমার সার্থক করে।
নারী তুমি আমায় আলো দেখিয়েছো পৃথিবীর,
তোমার গর্ভের নিরাপদ আশ্রয়ে কেটেছে আমার ভ্রুণদশা,
তোমার স্তনের সুধা আমার শৈশবের একমাত্র জীবীকা।
তোমার স্নেহের ছোঁয়া আমার মূলধন
এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার।
কিন্তু হায়! বারে বারে, যুগে যুগে আমি ভুলে যাই
তোমার মাতৃত্বের অবদান।

অবোধ পুরুষ আমি
মুদ্রার অপিঠটাকে দেখিনা
দেখতে গেলেও যুগযুগান্তরের বিশ্বাসের শিকড়টাকে
উপড়ে ফেলতে পারিনা...

নারী আমি পুরুষ-তোমাকে বোঝার বোধহীন এক নির্বোধ।।

!কবিতা না প্রশ্ন?

২৩ শে আগস্ট, ২০০৬ রাত ২:০৭

কোথায় ছিলে তুমি এতোদিন?
কোথায় হারিয়ে গিয়েছিলে তুমি?
বিস্তৃত এই পৃথিবীতে কাছের মানুষেরা যে কত দূরে,
ভীড়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে!
কারো কারো সাথে কোনো দৈব দুর্ঘটনায় দেখা হয়ে যায়,
কারো সঙ্গে বা দেখাই হয় না কখনো।

তোমার সঙ্গে দেখা হলো যদি তো আগে হলো না কেনো?

শুধু, ইচ্ছে হলো তাই

২০ শে আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১:৪৪

১.

ইচ্ছে হলো তাই
দিন হোক আর রাতই হোক
আর কিছু খুঁজে না পাই!
শুধু, ইচ্ছে হলো তাই।

২.

ইচ্ছে হলো তাই
কবিতা হোক আর গানই হোক
সব কিছুই তোমার হোক
আমার নেই কোনো শোক-
যদি তোমার দেখা পাই
শুধু, ইচ্ছে হলো তাই।

৩.
শুধু, ইচ্ছে হলো তাই!

আকাশ জানে না...

২০ শে আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৩:০৯

এখন বিকেল
নাকি দুপুর আর বিকেলের মাঝামাঝি!
রোদ আছে,
আছে শুভ্র মেঘের টুকরো,
যারা ঠাঁই নিয়েছে বিশাল আকাশে।
সেই আকাশটা আজ এত নীল কেন?
সে জানে না কষ্টের রঙও নীল?

আমার প্রথম ছাপা কবিতা

১৯ শে আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৫:২০

'ব্লু এন্ড গোল্ড' আমাদের কলেজের বার্ষিক ম্যাগাজিন। ঐ ম্যাগাজিনের ১৯৯৯-২০০১ সংখ্যায় আমার একখানা কবিতা ছাপা হয়েছিলো। সেটাই আমার প্রথম ছাপা কবিতা। কবিতাখানা আমি কলেজের বাংলা মাসিক পত্রিকা 'ঢাক-ঢোল'-র জন্য দিয়েছিলাম, কিন্তু কেন জানি না সেটা বার্ষিক পত্রিকায় স্থান পেয়েছিলো। ঢাক-ঢোলে কবিতাখানা খুঁজে না পেয়ে ভীষণ মন খারাপ হয়েছিলো আমার। তবে 'ব্লু এন্ড গোল্ড' - এ সেটাকে খুঁজে পেয়ে সেই খারাপ লাগা কোথায় চলে গিয়েছিলো!

আমার কলেজের বন্ধুরা কবিতাখানা পড়ে জিজ্ঞেস করেছিলো, "কোথায় পেলি?" তাদের এ প্রশ্ন করার কারণ ছিলো; কেননা তারা জানতো আমি আবেগপ্রবণ মানুষ নই, কবিত্ব-টবিত্ব আমার দ্বারা হয় না। জবাবে তাদের বলেছিলাম, "কেন পড়ে বুঝতে পারছিস না?" তাদের দু'জন পেরেছিলো। আসলেই কবিতাটিখানায় অন্য একটি কবিতার ছোঁয়া আছে। সেই কবিতা পড়েই আমি কবিতাখানা লিখেছিলাম।

আমার সেই কবিতাখানাকে নিয়েই আজকের এই পোস্ট।

বাংলা মা

বাংলা, তুমি আমার মা
তোমার তরেই মোর ভালোবাসা।

খেয়ে তোমার অন্ন
হয়ে যাই ধন্য।

তোমার জল
হৃদয় করে সুশীতল।

তোমার কোলে শুয়ে
পরাণ আমার যায় জুড়িয়ে।

বাংলা, তুমিই আমার প্রাণ
তোমারই তরে মোর যত গান।

***ধন্যবাদ নটর ডেম কলেজকে আমাকে আমারই কবিতা ছাপা অক্ষরে দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য।

Wednesday, March 12, 2008

কান্না এবং মৃন্ময়

০৪ ঠা আগস্ট, ২০০৬ সকাল ৮:৩২

১. কান্নার কাছে নিবেদন


কেন তুমি এত দূরে?
কেন তুমি নেই এই দু'চোখে?
কেন তুমি দিচ্ছ আমায় কষ্ট?
কষ্ট দিয়ে দিয়ে করছো আমায় নষ্ট!
নষ্ট হয়ে যাচ্ছি ক্ষয়ে দিনকে দিন;
কত জনায় পায় কত অশ্রুর ঋণ।
ঋণের বোঝায় হয়ে গেছি নত
কতকিছুর দংশন সইছি অবিরত।
অবিরত যাচ্ছি বলে তোমায়...
এখনো তুমি দাওনি দেখা আমায়।
তুমি কেন এত দূরে?
কখন আসবে দু'চোখে?
মুছে যাবে সব কষ্ট
হবো না আমি আর পথভ্রষ্ট।

২. মৃন্ময়, তোমাকে বলছি


যদি ডাকো-
মিনতি ভরা হৃদয়ে যদি ডাকো মোরে
যদি সেই ডাকে ফুটে উঠে আকুতি
যদি ডাকো মোরে-
দূরে ফেলে সব হতাশা-বেদনা
হাসি আর আনন্দকে বুকে ধরে
যদি একান্তই ডাকো মোরে-
দেখা দেবো,
দেখা দেবো তোমার দু'চোখে।।

(রচনাঃ ২০০১)

আমার কাছে ১৫ আগস্ট

১৫ ই আগস্ট, ২০০৬ দুপুর ১:০৩

১৫ আগস্ট মানে নয় মাইকে ফুল ভলিয়্যুমে ভাষণ,
১৫ আগস্ট মানে নয় কাঙালিভোজের আয়োজন,
১৫ আগস্ট মানে নয় কালোবেজ ধারণ,
১৫ আগস্ট মানে নয় 'বিচার চাই' শ্লোগান,
১৫ আগস্ট মানে নয় দেয়াল লিখন,
১৫ আগস্ট মানে নয় শ্রদ্ধাঞ্জলীর তোরণ।

১৫ আগস্ট মানে অনিষ্ট-দুর্নীতির সহমরণ,
১৫ আগস্ট মানে সন্ত্রাস রাহাজানি দমন,
১৫ আগস্ট মানে 'সুস্থ বাংলা' শপথ গ্রহণ,
১৫ আগস্ট মানে হারানো বাংলার অনুসন্ধান,
১৫ আগস্ট মানে আপামর জনতার পুনজাগরণ,
১৫ আগস্ট মানে অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াই আমরণ।

হোস্টেল -৩ এবং কিছু কথা

১৮ ই আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৩:৩২

ছিঁড়ে গেলো বাঁধন
ছিলাম হোস্টেলে একসাথে ক'জন
যার যার বাড়ি- যার যার ঘর
হয়ে গেলাম সবাই এখন পর !?

(মার্চ ২০০২ ডায়েরীর পাতা হতে)

আমরা হোস্টোলে ছিলাম ১৫ জন। এছাড়াও জুনিয়র ব্যাচের ছাত্ররা কয়েকমাস পরেই আমাদের সাথে যোগ হয়। সব মিলিয়ে কতজন ছিলাম ঠিক বলতে পারবো না। আজও কয়েকজনের সাথে দেখা হয়। সেই কয়েকজনের মধ্যে আবার কিছু আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। আমার বন্ধুর সংখ্যা খুবই কম। স্কুলের বন্ধু একজন (যে বর্তমানে সেনাবাহিনীতে); কলেজের বন্ধু ৫ জন। এর মধ্যে ২ জন আবার প্রাণপ্রিয়। এখানে বলে রাখা উচিৎ, বন্ধু হিসেবে আমি খুব একটা ভালো নই। বন্ধু আরো আছে- স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে। তাদের কথা আজ নাই বা বললাম। আজ শুধু হোস্টেলের বন্ধুদের কথাই বললাম যাদের কয়েকজন কোথায় আছে জানিনা।

হোস্টেল- ২

১৭ ই আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৪:২৩

হয়ে যাচ্ছে বিচ্ছেদ
ছিঁড়ে যাচ্ছে এ বাঁধন
মনে পড়ে যায় লিখেছিলাম
হোস্টেলে একসাথে ক'জন।
এবার সময় এসেছে
ক্ষমা চাওয়া আর পাওয়ার
ক্ষমা স্বর্গীয়। কিন্তু
মানুষের স্বভাবই তো ভুল করার!

তবুও কষ্ট দিয়ে যে কষ্ট
পেয়েছে অন্তর
সে কষ্ট তো থেকে যাবেজন্ম - জন্মান্তর।

(৩০ ১১ ২০০১ ডায়েরীর পাতা হতে)

হোস্টেল – ১

১৬ ই আগস্ট, ২০০৬ ভোর ৪:৩২

থাকি আমরা একসাথে ক'জন
যদিও জানি ছিড়ে যাবে এ বাঁধন।
কতো না হাসি-তামাশা
যেখানে নিষিদ্ধ ছিলো হতাশা।
থাকতে পারি না মোরা একা
যেন একে অপরের চিরদিনের সখা।
ছোট্ট ছোট্ট কথা আর কথা কাটাকাটি
মাঝে মাঝে আবার একটু হাতাহাতি।
সময় কেটে যায়, বয়ে যায় বেলা
থামবে না সময়ের এ খেলা।
তাই জানি ছিড়ে যাবে এ বাঁধন
তবুও হোস্টেলে আমরা এই ক'জন।।

(২৯ ০৬ ২০০১ ডায়েরীর পাতা হতে)

বিক্ষিপ্ত ভাবনা

০৫ ই আগস্ট, ২০০৬ সকাল ৭:৫৫

অনেকের মাঝে একজন
অতি সাধারণ
ঘুণপোকা
শত কোলাহল
ব্যস্ত পৃথিবী
এই আমি একা
আকাশ ছুঁয়েছে যে সমুদ্র
শত শত পাখি
সাগরের ঢেউ গুনি
ভিজে যায় পা
হৃদয়ে কাতরতা
ভাঙনের বীজ বুনি...

কে আমি?

০৬ ই আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৪:৩১

মদের গেলাস হাতে
মধ্যরাতে
এলোমেলো
অগোছালো
এক মাতাল আমি
ঘর আছে ঠিকানা নেই
ঠিকানা আছে আমি নেই
কোন অতলে হারিয়ে যাচ্ছি...

জানি না।।

ইচ্ছে!?

০৭ ই আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৪:৪৩

চাই শুধু নিস্তব্ধতা
চাই শুধু নীরবতা
চাই না নিরাপত্তা
চাই না একক সত্ত্বা
চাই শুধু, শুধুই মিথ্যা
চাই না সত্য-সততা
চাই না হাসতে, হাসাতে
চাই শুধু কাঁদতে, কাঁদাতে।।

হঠাৎ - ৩

০৮ ই আগস্ট, ২০০৬ বিকাল ৩:১৬

হঠাৎ করেই মনে পড়ে অপূর্ণ কিছু স্বপ্ন
আশার বাঁধে বেঁধেছিলাম সুখের কিছু লগ্ন।

হঠাৎ করেই ভেসে আসে ফেলে আসা অতীত
সবকিছুই যখন ছিলো প্রশ্নাতীত।

আমি খুঁজিনি কখনো আকাশের মানে
তবুও হঠাৎ হারিয়ে যেতাম কিসের টানে!

ভাবছি বসে হঠাৎ করেই
হঠাৎ অতীত আসবে ফিরে
ডাকবে আমায় আবার পথের ধারে...

হঠাৎ - ২

২৯ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৪৭

হঠাৎ করেই আবার মনে পড়ে-
ফেলে আসা কিছু সময়,
যে মুহূর্তগুলো হঠাৎ করেই দিয়েছিলো আনন্দ
কখনো বা দুঃখ।
মনে পড়ে প্রিয় কিছু কথা–
যা শুনা হয়নি এখনো.....

হঠাৎ - ১

২৮ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৫:৩৩

হঠাৎ করেই কতোকিছু-
হঠাৎ করেই মন খারাপ করে
হঠাৎ করেই ভালো লাগে
ভালোবাসি হঠাৎ করেই
হঠাৎ আছে বলেই এই বেঁচে থাকা
আবার হঠাৎ করেই মৃত্যু।

সেই তুমি আজ

২৯ শে জুলাই, ২০০৬ রাত ৩:৫৮

বহুদিন পর দেখা হলো তোমার সাথে-
যাবার পথে।
এতোদিনে কেটে গেছে-
উড়ে উড়ে ভেসে গেছে
প্রায় তেরশ বছর।
তুমিও অনেকটা বুড়িয়ে গেছো।
ভাবিনি, তবুও আবার
পেলাম তোমার দেখা,
যে তুমি ছিলে আড়ালে- অদেখা।
কিন্তু এতটাই বুড়িয়ে গেলে এখন!

তোমাকেই দেখেছিলাম আমি
প্রথমবার চোখ মেলে
সেই তোমাকেই চেয়েছিলাম দেখতে
চোখ বোজার মুহূর্তে।

সেই তুমি আজ এতটা জীর্ণ!
তুমিও রেহাই পাওনি !

হে বিধাতা!
তুমি এতটাই নিষ্ঠুর কেন??

অবশেষে...

২৮ শে জুলাই, ২০০৬ সন্ধ্যা ৬:৪০

ঘুমন্ত শহর।
জাগ্রত আমি।
আযানের ধ্বনি।
নিঃশব্দ গানের সুর।
ফুটে উঠা ভোরের আলো।

অবশেষে
মনে উঁকি দেয় সুপ্ত পাপ আমার।।

একাকীত্ব আর আমি

২৯ শে জুলাই, ২০০৬ বিকাল ৪:৫৮

একাকীত্ব মানুষকে কবিতা লিখতে শেখায়?
কবিতাকে সঙ্গী করে নিতে পারে কি একাকী মানুষ?
নাকি কবিতা বুঝিয়ে দেয়: মানুষ তুমি বড়োই একাকী?
এসবের উত্তর কে দেবে?
বিধাতা?
বিবেক?
নাকি সময়?

বিধাতাই তো মানুষকে বানিয়েছেন একাকী।
এ মর্ত্যলোকে পাঠিয়েছেন একাকী
জীবনযুদ্ধে ঠেলে দিয়েছেন একাকী
আবার ফিরিয়ে নেন একাকী
তাহলে...

বিবেক তো মানুষকে বুঝিয়ে দেয় সে একা।
জীবন তোমায় গড়তে হবে একা
আজীবন তুমি লড়বে, কিন্তু একা।
অনেক কিছুর মাঝেও মানুষ একা- বুঝানোই বিবেকের কাজ।

সময়ই তো সবচেয়ে দোষী।
সে-ই তো নিয়ে আসে একাকীত্ব
সৃষ্টি করেছে মানুষের নিয়তি।
এই সময়ই এ পার্থিব জগৎ থেকে মানুষকে নিয়ে যায়।
নিয়ে যায় অপার্থিব একলোকে - সেখানেও ভীষণ একা মানুষ।

সেই ফুল

৩১ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৭:৫৪

ভালোবাসা মানে ধোঁয়া ছাড়ার প্রতিশ্রুতি।
সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি আজও;
সাক্ষী আমার সেই ফুল।

সাত রঙের মিশ্রণ যে সাদা,
সেই শুভ্রতার ছোঁয়া আজও
ধোঁয়া হতে মুক্ত করতে পারেনি,
সেই পবিত্রতা আজও আমায় স্পর্শ করেনি।

প্রতিশ্রুতি কেন যে দেয়া হয়!
সন্ধ্যার সি্নগ্ধতায় হয়তো আজও
সেই প্রতিশ্রুতি দেবো আবার-
আমি পবিত্র হবো, ভালোবাসবো।

কিন্তু...
রাত্রির নীরবতায় একাকী তার পাশে
একখানা ধোঁয়ার উৎস নিয়ে হাতে
ভাববো...
সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হলো না আজও!

ভালোবাসা এখনো কতো দূরে...
সাক্ষী শুধু আমার সেই ফুল।।

থমকে থাকা এ সময়

এ শ্রাবণ সন্ধ্যায়
বৃষ্টিভেজা মৃদু বাতাস
অহেতুক, অকারণে
থমকে গেলো সময়।

হঠাৎ স্তব্ধতা।
নিঃশ্বাসের শব্দ।
কানে লাগে।
অসহ্য।

নিঃশ্বাসে বিষ যেন;
এ সন্ধ্যা,
মৃদু বাতাস,
সবকিছু স্তব্ধ- অসহ্য।

অসহ্য থমকে থাকা এ সময়।।


৩১ শে জুলাই, ২০০৬ সকাল ৯:০৬