Friday, March 14, 2008

রক্তজবা ছিঁড়েছে

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ভোর ৫:০১

উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটছি
আর পাগলের মতো যাকে তাকে বলছি,
জানেন, ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে

কথাগুলি গানখানাতে যতোবারই ধ্বনিত হয়, মনে এক-একটা করে হতাশার জন্ম হয়। তবুও শুনি- যখন তখনই পুরো গানখানা শুনি। কারণ সেই হতাশার সাথে জন্ম নেয় সেই স্পৃহা- যে স্পৃহা জন্ম দেবে সেই বিপ্লব - যে বিপ্লব প্রতিশোধ নেবে সেই ধর্ষকদের - যারা ধর্ষণ করে যাচ্ছে মা-বোন-মেয়ে-প্রেমিকারূপী নারীদের। যারা উন্নয়নের নামে, ধর্মের নামে, দেশ রক্ষার অজুহাতে ধর্ষণ করছে সমাজকে - সর্বোপরি আমাদের মা ও মাটিকে- দেশ ও জাতিকে। সে স্পৃহা যেন বাংলার প্রতিটি মানুষের মনে জন্ম নেয় সেই কামনায় আজকের এই- রক্তজবা

খবরটা শুনে আমি উন্মাদের মতো ছুটলাম
হাসপাতালে
চারিদিকে রক্তের ছোপ ছোপ
ধর্ষিত হয়েছে আমার প্রেমিকা-
আমার রক্তজবা।
চোখ মেলে তাকালো সেই মেয়ে
প্রেমিকের কাছে অভিযোগ
রক্তভেজা শরীরে
"জানো! ওরা ন'জন ছিলো
কতো কাকুতি-মিনতি আমি করলাম
তোমার কথাও ওদের বললাম
জানি তুমি কষ্ট পাবে।
ঈশ্বরকে আমি প্রাণপণ ডাকলাম
উনি হয়তো অন্য কোন কাজে ব্যস্ত ছিলেন
কেন তুমি এতোগুলি বছর আমায় পবিত্র করে রাখলে?
মা মাগো মা! কী ভয়ঙ্কর যন্ত্রণা!
জানো! ওরা ন'জন ছিলো
কেউ রেহাই দেয়নি।"

যে মহিলা সর্বক্ষণ তিরস্কার করতেন
আজ সে মা হয়ে গেছে
তাঁর চোখেতে আমাদের জন্য মমতা।
দু'জন পুরুষের চোখাচোখির ভাষা
পারবে কি খুনী হয়ে প্রতিশোধ নিতে তোমার রক্তজবার?

হাসপাতাল থেকে বের হলাম
সেই চেনা শহর,
সেই আইসক্রিমের দোকান,
সেই হাসি হাসি মুখ।
কতোটা অত্যাচারের পর প্রতিশোধ নেয়ার স্পৃহা জাগে?
কতোটা প্রতিশোধের জন্য খুনী হওয়াই উচিৎ?
উদ্ভ্রান্তের মতো হাঁটছি
আর পাগলের মতো যাকে তাকে বলছি,
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে
জানেন ওরা আমার রক্তজবা ছিঁড়েছে... ...

1 comment:

Samran said...

এই লেখাটা পড়তে পারলাম না, ফন্ট ভেঙে আছে আমার স্ক্রিনে, বেশ কিছু লেখাতেই তাই কিন্তু সবেতে নয়। কেন কে জানে!