Monday, December 31, 2007
শিরোনাম, স্বপ্নদেখা
এই আগমনের সাথে নব্য কোনো কাব্যও নয় সম্পৃক্ত।
এ তো শুধুই মনের গহীনে লালিত কিছু টুকরো কথা;
গোলাপের কাঁটা গেঁথে আছে হৃদয়ের অস্পৃষ্ট দেয়ালে
লাল-সবুজের আঘাতে সেথায় নীলের অঝোর ধারা।
(নিজের মধ্যে একাকী নিমগ্ন ছিলাম সবার অগোচরে-
আত্মমগ্ন কুয়াশার মোহ ছিঁড়ে গেলো কীসের আহবানে!)
অবিরাম বয়ে চলতে হয় খড়কুটো হয়ে সময়ের স্রোতে
পথের শেষ নেই- বিনাশের পরেও ছুটে চলা অন্ধকারে
আড়াল চাইনি কভু চারকোণার কোনো ঘরে আবদ্ধ হয়ে
ঈশ্বর জানেন, তিনি ভুল করেন না, পথই সেই আড়াল।
(পাতা উল্টালেই নতুন কোনো পথের নীল মানচিত্র মিলে
নীল সেই নকশায় অগণিত আঁকাবাঁকা পথের চলাফেরা।)
সারাদিন কোনো কাজ করা হয়নি, তবুও ভীষণ ক্লান্ত আমি
বিকেলবেলা এমনি একটু চোখ বুজেছিলাম ঘুমুবো বলে,
স্বপ্ন দেখি (যে স্বপ্ন দেখার অবকাশ কখনো ছিলো না আমার):
আমি ভালো আছি। ভীষণ রকম ভালো আর শুধু হাসিমুখ।।
Saturday, December 29, 2007
বন্ধু, কী খবর বল! কতোদিন দেখা হয়নি... [প্রলাপ]
Sunday, December 16, 2007
বিজয় দিবসে আমার ব্যর্থতা
হাঁক-ডাক-চিৎকারে গর্বিত পুলকিত চিত্তে মেতে উঠিনি!
গদ্য-পদ্য গঠন-নিয়মকানুন ছন্দ-মাত্রাবৃত্তে পরিমার্জিত
দুরূহ শব্দে অনুসন্ধানের গল্প সাজানোর অনুচিন্তায় চিন্তিত!
আহা,
কী সব হিজিবিজি ব্যাকরণ অলংকরণ অথবা ব্যানার সম্পাদন!
আর অসম্ভব বাস্তবতা এড়িয়ে কালিমাতে সাদা প্রলেপ লেপন।
ব্যর্থতা-
পরাধীন বাংলার ক্রন্দন থেমেছিলো একাত্তরের বলিদানে।
স্বাধীন বাংলার অবিরাম ক্রন্দন রুধির ধারা হয়ে বয়ে যায়
কেনো এ ক্ষরণ আমরা সবাই জানি, শুধু জানা-বুঝাতেই!
মুখে হাজারো বুলি আওড়াই, কাগজে শতরঙের বাহার।।
বাঙালী বলেই বারবার এ কথা শুধু মার্জনা চেয়ে বলি
মায়ের অশ্রুভেজা আঁচলে লাগে কেনো দাসত্বের ধূলি!
Saturday, December 1, 2007
এবার ঘরে ফেরা
কষ্টার্জিত কিছু অলস সময় করে তাকে সময় দিয়েছিলাম!
সতেজ সময়গুলো নিয়ে হাজিরা দিলাম ভালোবাসার কাছে
অবহেলায় তুচ্ছজ্ঞান করে দূরে ঠেলে দিলো, কী যে অহম!
আপন সত্ত্বার কাছে নতমুখে পরাজিত আমি এক ক্ষমাপ্রার্থী
কতশত অসংলগ্ন ঘটনাকে ক্ষমা করেছে এই আমার সত্ত্বা-
আজ আবার ঘনিয়েছে সময় পুনরায় পুনঃসংশোধনের আর্তি
আর নয় অলস সময়, আর নয় অবহেলা এবার ঘরে ফেরা।।
Wednesday, November 28, 2007
সন্ধ্যায় গানের কথা-সুরে তোমাকে..
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়
তবে এই হোক তীরে জাগুক প্লাবন,
আমি তোমাকেই বলে দেবো, কী যে একা দীর্ঘ রাত-
আমি হেঁটে গেছি বিরান পথে
কড়া নেড়ে গেছি ভুল দরজায়
মিছিলের গান
ঠোঁটে তুলে নে কোনো অমিত শ্লোগান
এ পথ ধরে ধরে হেঁটে চল বহুদূর
পিছে পড়ে থাক সব চেনা অভিমান।
ঐ আকাশে আকাশে কতো রঙ রোদ হাসে
কতো চেনা সুর ইশারায় ছুঁয়ে যায়
অন্ধ বধির এই থাকে পরবাসে
মুখরতা ডাকে সে ফিরে আসেনা
ঘুম ঘুম ঘুম ঘুম ঘুম চোখে চোখ বুজে রয়
আগামীর গান থাকে স্মৃতির ছায়ায়
ঐ মিছিলে মিছিলে ভাসে লাশ, লাশ ভাসে
প্রান্তরে পড়ে থাকা প্রান্তিক মুখ
সব দেয়ালে দেয়ালে লেখা প্রতিবাদ গান
বুলেট রুখে দেয় মানুষের বুক
ঐ সূর্য সারথী পাখি গান গেয়ে যায়
ঘুম চোখে জেগে ওঠে ভোরের মায়ায়।
Tuesday, November 27, 2007
আড়াল বোধ পরাজয়
একগাদা সংকোচবোধ তাড়া করে আমায় ;
যদিও মাঝে একবার কী যেন লিখে পাঠিয়েছি
কিন্তু সে আড়ালটা আর থাকছে না...
কবিতা ভালোবাসি, তাই কবিতা প্রতিদিন
গান ভালোবাসি, তাই চলে আসে প্রিয় গান;
যদিও মাঝে একবার কী গান যেন শুনিয়েছি
কিন্তু সে আড়ালটা আর থাকলো না...
আজ সেই আড়াল নেই
আজ সেই কথা নেই
নেই আজ সেই প্রিয় গান
কবিতাগুলিও কেমন যেন হয়ে গেছে
মাঝে মধ্যেই ধমকে উঠে....
তাই ভাবি, কেন যে এতো বুঝি!!!
Monday, November 26, 2007
কী বিস্ময়কর পৃথিবী আমাদের!
দেখে যাই সবকিছুই, চোখ এড়িয়ে যায়নি-
তাদের ফুটে উঠা- আমাদের হৃদয়ের আলোড়ন
ভাবনা জাগে, কী বিস্ময়কর এই পৃথিবী আমাদের!
দৃষ্টি উড়ে নীলাকাশে- চরে বসে শুভ্র মেঘের ভেলায়
ঘুম ভাঙতেই দেখি সূর্যের আশীর্বাদপুষ্ট সোনালি দিন
নিকষ কালো পবিত্রতার ছোঁয়া মিলে নয়নের আলোয়
ভাবনা জাগে, কী বিস্ময়কর এই পৃথিবী আমাদের!
রংধনুর সাতরঙা অস্পৃশ্য প্রতিচ্ছবিটা আগলে রাখে চোখ।
রং সারা পৃথিবী জুড়ে, যারা যাচ্ছে চলে পাশ কাটিয়ে
বন্ধুদের হাত মিলানো আর কুশল বিনিময় দেখে যাই-
ভাবনা জাগে, তারা বলে যায় "তোমায় ভালোবাসি"।
শিশুদের কান্নাও শুনেছি আবার বেড়ে উঠাও দেখেছি
অবাক হয়ে জেনেছি ওরাও অনেক কিছু্ই শিখে যাচ্ছে...
কতোই না রহস্য সর্বত্র! কী সুন্দর এই বেঁচে থাকা!
ভাবনা জাগে, কী বিস্ময়কর এই পৃথিবী আমাদের!
ডিসক্লেইমারঃ
Friday, November 23, 2007
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ হতে রৌদ্রদগ্ধ কালো ধোঁয়ার পথ
অবান্তর প্রশ্নটা শুধাই নিজেকে 'কেমন আছো?'
'ভালো' জবাবটা শোনালো প্রবোধের মতোই ।
হেসে ওঠি, পরম আমার জবাবটাও ঠিক তাই!
'ভালো নেই' বলতে বলতে বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়ি
অলস আমি বলি 'ভালো'। কারণ দর্শাতে হয় না।
জোর-করা একটা হাসি নিয়ে আসি- বিভ্রান্তিকর।
মনে মনে বলি 'বোকা'। অশুচি হয়ে বলে যাই-
কারো ছোঁয়া চাই না। সুখ হোক কিংবা দুঃখ!
ভোতা কিছু অনুভূতি নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই
সদা গতিশীল সমাজে পরিবর্তনশীল প্রাণী- মানুষ;
আদর্শ বজায় রেখে সামাজিকতা দেখাতে পারি কই!
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষ ছেড়ে রৌদ্রদগ্ধ কালো ধোঁয়ার পথে
কতো ভীড়! সবার মাঝে একাকী বসে আছি বাতাস ঘেঁষে
সাদা পাতায় কালিমা লেপছি আবোল তাবোল...
ছোটলোক। ভালোবাসা বুঝিনা। পাগল। কুপমন্ডুক।
হরেক উপাধি নিয়ে বিচরণ করে বেড়াচ্ছি প্রতিনিয়ত।
শ্লোগান শ্লোগানে মুখরিত তাই সত্ত্বার ভিতর-বাহির-
"বিকৃত সময়ে বিকৃত মনোভাবে বিকৃত মানুষগুলোর রুচি
চিৎকার করি জ্বলে পুড়ে ছারখার তবুও আমি নাকি অশুচি!"
Tuesday, August 28, 2007
ভাবনাদের টানাপোড়নে
ঘরের মইধ্যে থাইক্যা কয়-
মন জুড়ে আমার গোটা আকাশ;
গগন-মনন আমার আমি।
আকাশতলে গিয়া বইল্যা ওঠে-
ঘর যে টানে বড়ো,
আকাশ মোরে ছাড়ো;
ঘরের মায়া যায় না ভোলা!
ঘরবাহিরের টানাপোড়নে
অসীম জ্বালা এই অন্তরে;
প্রার্থনা তাই তাঁহার সনে-
স্থির করো এই মনটারে।
Wednesday, June 27, 2007
কফির কাপ হাতে আলোকিত সন্ধ্যায়
প্রথম চুমুকঃ
ঠান্ডা হয়ে এসেছে প্রায়- বিচ্ছিরি ধরনের কটুস্বাদ।
শরীরের কেমন যেনো বিদ্রোহ প্রকাশ।
দ্বিতীয় চুমুকটা কেমন হবে সেই অপেক্ষায় চিন্তাযুক্ত।
তবে অপেক্ষার অবসান তার বাহকের কাছেই।
বাহক আমি, নেবো নেবো করেও চুমুক দেয়া হচ্ছে না।
লাল-সাদার এই কফির মগের সাথে চলছে এ কেমনতর খেলা!
অবশেষে...
দ্বিতীয় চুমুকঃ
একটা মশা এসে বসলো মধ্যমায়-বাঁ-হাতের তর্জনী উদ্ধত হয়ে উঠতেই
দিলো এক উজাড় উড়াল- গন্তব্য কোথায়!
ওহ! যা বলছিলাম, এই চুমুকেও ব্যতিক্রম কিছু হলো না,
আমার ক্ষীণতনু আবারো বিদ্রোহ প্রকাশ করছে।
এই একাকী সন্ধেবেলায় এই ঠান্ডা হয়ে আসা গাঢ় রঙের তরল পদার্থ তার ভালো লাগছে না কিছুতেই।
আর মননশীল আমার মনের তো কোনো খোঁজই নেই
সে যেকোনো উপায়ে মনের মানুষটাকে চাচ্ছে- ভালোবাসা!
তৃতীয় বারের মতো শরীরের উপর আবার অত্যাচার শুরু...
তৃতীয় চুমুকঃ
"এ কেমনতর স্বাদরে কফির!? অসহ্য"
চেঁচিয়ে উঠলো রক্তমাংসের শরীরটা।
"ঠান্ডা হয়ে যাওয়া কফি কেউ খায় নাকি!? অসহ্য"
বলতে বলতে তিরস্কার করতে থাকলো আমায়।
আমিও আর কালক্ষেপণ না করে চতুর্থবারের মতো ঠোঁটে তুলে দিলাম।
চতুর্থ চুমুকঃ
গর্জে উঠলো স্বাদগ্রন্থিগুলি, "দূরছাই!!
একী অত্যাচার আমার উপর! বন্ধ কর্ বন্ধ কর্।"
শরীরের অবিরাম ভৎসর্ণা তিরস্কারে মন ফিরে
এই ছোট্ট যন্ত্রসংগীতমুখর আলোকিত ঘরটায়।
মন ফিরে আসে তার সনাতন সেই আবাসস্থলে।
অবাক হয়ে ভাবে কত্তো মানুষ! নারী-পুরুষে
গমগম করছে ঘরখানা; তবু সে শুনেনা কিছুই
এই ভীড়ের মাঝে সে ভীষণ একা। হারাই হারাই ভাব!
"এই যে!" ফুসে ওঠে ১০৯ পাউন্ডের দেহখানা;
"কী হলো?? ভয়ে ভয়ে জবাব দেয় আমার মন।
"আমার উপর কী অত্যাচার হচ্ছে দেখেছিস? ঠান্ডা বিচ্ছিরি টাইপের কফি নামক বিষ আমায় খাওয়ানো হচ্ছে বিরতি দিয়ে দিয়ে। তুই কী করছিস?!"
"ওহ! তাই নাকি! কই দেখি তো এক চুমুক খেয়ে।"
প্রথমবার দেহমনের সমন্বয়ে হাত বাড়ালাম কফির কাপটার দিকে পঞ্চমবারের জন্যে..
কিন্তু একী! তলানীতে পড়ে আছে কয়েক ফোঁটা।
কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই বেয়ারা এসে নিয়ে গেলো এতক্ষণের সঙ্গীকে।
দেহ-মনের আবার বিচ্ছেদ।
দেহের তৃষ্ণা পঞ্চম চুমুকের... উঠে দাড়ায় চেয়ার ছেড়ে।
মনের তৃষ্ণা ভালোবাসার... হারায় অজানায় অচেনায়।
পরিশিষ্ট:
তুই আসিসনি এখনো বন্ধুদের আড্ডায়
ক্লান্ত দিনের শেষে কোনো ক্যাফেতে
কফির কাপ হাতে আলোকিত সন্ধ্যায়
ভাসাসনি আমাকে তোর হাসিতে।
বাবুইয়ের বুনে চলার অবিরাম চেষ্টাতে
নেমে আসছে নিরাশার ছায়াপরিত্যক্ত হচ্ছে একে একে নীড়গুলো
পরিশ্রান্ত আমার ভালোবাসা।
_______________________________
স্থানঃ ক্যাফে লা ভারেন্দা, আলিয়্যঁস ফ্রস্যেঁজ, ঢাকা।কালঃ ১৮:৪৫
*****পরিশিষ্ট অংশ 'বাংলা এভিনিউ'র 'চন্দ্রাস্ত' গানের কয়েকটি লাইন। গানখানার লিংক দিলামঃ চন্দ্রাস্ত
Saturday, February 17, 2007
"বাবা, আপনাকে খুব ভালোবাসি"
"বাবা, আপনাকে খুব ভালোবাসি।" কথাটা আজ পর্যন্ত বলতে পারিনি। ছোট বেলায় বলেছিলাম কিনা মনে নেই। কিন্তু বুঝে উঠা শিখার পর বলেছি কিনা মনে পড়ে না। অথচ বাবা কতোই না আপন।
মা-কে তুমি বললেও বাবাকে সবসময় আপনি করেই বলে এসেছি। আজও বলি। দূরত্ব? তা মনে করি না। বাবার সাথে গান শুনতাম আগেও, এখনো শুনি। যার সাথে নিজের সবচেয়ে প্রিয় কাজটি শেয়ার করতে পারি, তার সাথে কীসের দূরত্ব! বাবার সাথে সম্পর্কটা ঠিক কেমন জানি, বুঝি না। পাঁচ ভাইবোনদের মধ্যে সবার ছোট আমি। আমার প্রতি সবার ভালোবাসাটা একটু বেশীই। সবার চিন্তা আমাকে নিয়ে। স্নেহের জোয়ারে এখনো ভাসি যখনতখন।
সেদিন অবরোধ ছিলো। খুব জরুরী কাজে মতিঝিল যাওয়া খুব প্রয়োজন। আম্মাকে কোনোভাবে ম্যানেজ করলাম। আব্বা কিছুতেই রাজি হলেন না। তাঁর এক কথা- “টাকা-পয়সার ক্ষতি হলে হোক, যাওয়ার কথা মুখে এনো নাÓ।
আমার এক বন্ধুর কথা বলিঃ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার সময় সে কয়েকটা পরীক্ষা দিয়ে পলাতক হয়েছিলো (ভেবেছিলো ফেল করবে কিন্তু করেনি, এই না হইলো নটরডেমিয়ান!)। অনেকটা দেশভ্রমণের মতো। বেশ কিছুদিন পর সে বাসায় ফিরলো। তখন ওর বাবা ওকে ডেকে নিয়ে পাশে বসায়। তারপর ছেলেকে জড়িয়ে ধরে সে কী কান্না। বন্ধুটি ভাবতো, বাবা একটা কাঠখোট্টা মানুষ। তার ভুল ভাঙলো। আসলে বাবারা হয়তো আবেগ তেমন করে প্রকাশ করেন না।
বাবা- যার জন্যে মাকে পেয়েছি, আমি আমি হয়েছি, কতো ভালো চারটি ভাই-বোন পেয়েছি, অসীম ভালোবাসায় এতোদূর এসেছি, তাকে সহস্র সালাম। শুধু মুখ ফুটে বলতে পারি না "তোমাকে ভালোবাসি বাবা"।
জানাতে যতো যাই কথায় হারাই ততোই মানে, ভালোবাসি তোমায় তাই জানাই গানে...
"ছেলে আমার বড়ো হবে"
চশমাটা তেমনি আছে,আছে লাঠি ও পাঞ্জাবী তোমার,
২০০২ এর ডিসেম্বরে যখন মা-বাবা প্রবাসে গেলেন, ভেবেছিলাম কোন ব্যাপার না। আমি হলাম আবেগহীন মানুষ। কিছুই মনেটনে পড়বে না। কাউকেই না। কিন্তু মনে পড়ে। খুব পড়ে। কাছে পাওয়ার জন্য মনটা কেমন যেনো হয়ে যায়। যখন জেমসের এ গানখানা শুনি তখন হৃদয়ক্ষরণ কে আটকায়! কিছুদিন হলো মা-বাবা দেশে ফিরেছেন। ভাবি অবসর সময়ে কোথাও যাবো না। তাঁদের সাথেই থাকবো। কিন্তু পারি না। কেমন জানি হয়ে গেছি।! সেদিন শুনলাম পথিকের বাবা অসুস্থ; পরদিন শুনি তিনি মারা গেছেন। অজান্তেই চমকে উঠলাম- আমার বাবাও তো একদিন চলে যাবেন। প্রবাসে থাকলে তো অন্তত ফোনে কথা হয়, তখন তো আর কথাও হবে না। ভাবনাগুলোকে তাড়াতে পারি না। সত্যকে একদিন বরণ করে নিতেই হবে। জীবনের একটা সত্য, সেটা হলো মৃত্যু। সবাইকে বিদায় দিতে হবে, বাবা-মা-ভাই-বোন... ভাবি যদি কাউকেই বিদায় না দেয়া লাগতো। সবার আগে আমি চলে যেতাম, তাহলে বেশ হতো।...